২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৬:৩৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
বিশেষ প্রতিবেদন
: ইনোসেন্ট চেহারাটি ইস্তেমাল করে সরল মেয়েদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে, ফাঁদে ফেলে একপর্যায়ে ব্লাকমেলিং শুরু করে, এমন অভিযোগ মিলেছে একাধিক ভুক্তভোগী মেয়েদের কাছ থেকে। তাদের মতে, এই যুবক মূলত ইন্টারনেটের বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। তারা আরও জানায়, তার ভাগ্নি মোনেনার সহায়তার এভাবে সংগ্রহ করা মেয়েদের নিয়ে ঢাকা বরিশাল লাইনের লঞ্চে লঞ্চে আমোদ ফুর্তির কাজে লাগায়। অবলা নারী দিয়ে চালায় গোপন দেহব্যবসা।
রোহান খান (৩১), স্থায়ী ঠিকানা: বরিশাল ঝালকাঠি, বর্তমান ঠিকানা: গাবতলী দিয়াবাড়ি চাড়াবাগ, পেশায় একজন গার্মেন্ট শ্রমিক। ফুটফুটে সুন্দর রোহান খান দেখতে যেমন সুন্দর তথ্য মতে তার চরিত্রটি ঠিক তার উল্টো! সে তার সুন্দর চেহারাটির বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ফেইজবুক, টিকটক, ইমো ব্যবহার করে প্রথমে প্রচার করে যা দেখে তার প্রেমের ফাঁদে পা দেয় অবুঝ উঠতি বয়সের কিশোরী ও যুবতীরা। পরে সে তাদের সাথে একপর্যায়ে শুরু করে অডিও ও ভিডিও সেক্স। সরল মেয়েরা বুঝতে না পেরে এক সময় ফেঁসে যায়, তখন মুক্তিপণ হিসেবে সে তাদের দিয়ে শুরু করে রমরমা দেহব্যবসা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মেয়েরা একজন রিপোর্টারের মাধ্যমে জানায় যে মেয়েদের পটিয়ে তাদের সাথে অবৈধ সম্পর্কের ভিডিও তৈরি করে একপর্যায়ে তা দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে জোর করে ফেইজবুক লাইভ করিয়ে, ইমুতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন লোকের সাথে ভিডিও সেক্স করিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই রোহানের কাজ।
এভাবেই রোহানের ব্লাকমেইলের শিকার অপর এক ভুক্তভোগীর নাম আয়েশা খন্দকার(২৪)। আয়শা জানায়, ৫ বছর আগে তাকে আটকে রেখে ফেইজবুকে লাইভ করানো হয়, একসময় সেই ফাঁদ থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। আয়শা নিজের স্বামী-সন্তান নিয়ে ভালো থাকার আসায় নতুন জীবন গড়ে তুললে পরে সেই জীবনেও ঘটে রোহানের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং নানান ভাবে তাকে ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে একপর্যায়ে নিজের সংসার থেকে চলে যেতে হয়।
আয়শা জানায়, তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে পুনরায় তার পুরোনো ভিডিও গণমাধ্যম ছড়িয়ে দিয়ে তাকে সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। আয়শা এছাড়াও খন্দকার জানান যে এমতাবস্থায় সে ঘটনার বিবরণ দিয়ে কদমতলী থানায় একটি জিডি করেন (জিডি নং ৯৭ তারিখ ২/৫/২৩)। এবিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহোদয় যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বলে আয়শা জানান।
ওদিকে ভুক্তভোগীকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার হুমকি এখনও চলমান রয়েছে, এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ডিসি মহোদয়কে জানানো হলে পরে তারা তাকে বলেন যে এখনো তদন্ত শেষ হয় নি, ‘আপনি সাইবারে যোগাযোগ করুন’ কিন্তু আয়েশা খন্দকার ভীষণ বিপাকে সে বাঁচতে চায়।
আয়শা খন্দকার প্রতিবেদকের সাথে অনেক কান্নাকাটি করে বলেন, “একোন দেশে আমরা বসবাস করি! আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কি জানেন যে আমাদের দেশের পুলিশ প্রশাসনের তদন্তের নামে আসলে কি গাফেলতি চলে!?”
আয়শা জানে না সাইবার কি, কোথায় গিয়ে তাকে অভিযোগ দিতে হবে, তার ভয় যাবার পথে যদি তাকে আবার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়!? যদি তারা তাকে খুন করে ফেলে!?
আয়শার আবেদন, “আমি ভীষণ বিপদে আছি, যেকোনো মুহূর্তে আমার জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে, ওদিকে পুলিশ প্রশাসনের তদন্তের শেষ হয় না। ওই চক্রের হাতে আমি যদি গুম হয়ে তাই বা তারা যদি আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে দেহব্যবসায় বিদেশে পাঠিয়ে দেয় বা খুন করে ফেলে এবং তারপর আমার লাশ উদ্ধার করার পরেও কি তাদের সেই তদন্ত চলমান থাকবে? একজন মেয়েকে ব্লাকমেইল করে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ওদিকে পুলিশ প্রশাসনের তদন্তের শেষ হয় না, আমাকে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে যেতে বলে, আসলে আমার কি করা উচিত? আমার এই বাঙ্গালী ও নারী জীবনের মানে কি!?”
অসহায় আয়শা খন্দকার এই প্রতিবেদকের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য আকুল আবেদন জানান।
Leave a Reply